up

#কক্সবাজার



পড়ন্ত বিকেলে আকাশটা ধীরেধীরে আবির রঙ থেকে লাল হওয়া এবং নীল পানিতে লাল আকাশের প্রতিচ্ছায়া অদ্ভুত সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে,তারপর ধীরেধীরে সাগরের বুকে হারিয়ে যায় আস্ত সূর্যটা।সূয্যিমামার হলুদ থেকে কমলা, কমলা থেকে টুকটুকে লাল হয়ে নানা রঙের বর্ণচ্ছটা দিগন্তে ছড়িয়ে দেয়ার দৃশ্য পৃথিবীর অন্যতম সেরা নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দৃশ্য।তাই তো পৃথিবীর সব মানুষ বিস্ময়বিমুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে অস্তমিত সূর্যের দিকে।আর সূর্যাস্তের মায়াবী রূপ দেখতে টুরিস্টরা আসে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে।তাই তো কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ব্রান্ড হিসাবে বিবেচিত হয়।

ঝাউবনের সারি, দিগন্তজোড়া বিস্তীর্ণ নরম বালুর  সৈকত আর সমুদ্রের শোঁ শোঁ গর্জন মিলে মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠে  কক্সবাজার। অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই লীলাভূমিতে যেমন সাগর-পাহাড়ের মিতালী ঘটেছে, তেমনি সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সহাবস্থানও দেখা যায় এখানে।কক্সবাজারে বিভিন্ন নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বাস শহরটিকে করেছে আরো বৈচিত্র্যময়। বাংলাদেশের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর স্থান এবং নৈসর্গিকসৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এই কক্সবাজারের নামটির সাথে বাংলা ভাষার কোন মিল না থাকার পেছনে আছে একটি ইতিহাস।কক্সবাজারের আদি নাম ছিল পালংকী।ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামের এক কর্মকর্তা ১৭৯৯ সালে এখানে এসে একটি বাজার স্থাপন করেন বলে তার নাম অনুসারে কক্স সাহেবের বাজার এবং পরে  কক্সবাজার হয়। ২৪৯১.৮৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ জেলায় রয়েছে ৫টি নদী যা পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যেকে ভিন্নতর বৈশিষ্ট্যের দান করে কক্সবাজারকে করছে একেবারেই অনন্য।


কক্সবাজারে শুধু ১২০ কিলোমিটারের সমুদ্র সৈকত নয় পাশাপাশি রয়েছে অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-

হিমছড়ি:কক্সবাজার গিয়ে হিমছড়ি যায়নি এমন টুরিস্ট সাধারণত পাওয়া যাবে না। কারণ কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে।এখানে ছোট্ট একটা ঝর্ণা আছে।তবে হিমছড়ির মূল আকর্ষন ঝর্ণা নয় এখন, আকর্ষণ হলো পাশের পাহাড়ের উপর থেকে সূর্যাস্ত দেখা বা সমুদ্র দেখা।যা অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য।এছাড়া রাস্তার উল্টো পাশে আছে সমুদ্র সৈকত,যা কিছুটা নিরিবিলি।তাই অনেকে  রাস্তার পাশের চা/ কফির স্টলে বসে নারিকেল ও ঝাউবন গাছের সারির ফাঁক দিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে এখানে চলে আসে।


ইনানী বিচ:ইনানী বিচ হলো সবুজ প্রবালে ঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর এক সমুদ্র সৈকত,যার সৌন্দর্য শব্দ বা ক্যামেরা নয় চোখের লেন্সই পারে বর্ণনা করতে।কক্সবাজার থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বের এই আকর্ষণীয় সৈকত একটি হলো হিমছড়ি এবং অন্যটি হলো ইনানী।কক্সবাজার সমুদ্র থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অন্যতম আকর্ষণীয় এই সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে আকাশে আবীর রঙ ছড়িয়ে আস্ত সূর্যটার টুপ করে সমুদ্রে ডুব দেয়ার দৃশ্য হলো পৃথিবীর সবচেয়ে মোহনীয়।এককথায় ইনানীর সূর্যাস্ত হলো ক্যানভাসে আঁকা পৃথিবী নন্দিত কোন শিল্পীর শিল্পকর্ম।

সেন্টমার্টিন: চারপাশে সাগর আর আকাশের নীলের যেন আজন্ম মিতালী পেতেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে।আকাশ আর সাগর মিলেমিশে একাকার হওয়া এই স্থান হলো বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের ভূখণ্ড সেন্টমার্টিন। একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। কক্সবাজার থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরের ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ।১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে মৎস্যজীবী রাখাইন সম্প্রদায় ও অল্প সংখ্যক বাঙালিরা জীবিকার প্রয়োজনে এই দ্বীপে বসতি গড়ে।কালক্রমে কেয়া ও ঝাউগাছে ঘেরা এই প্রবাল দ্বীপটি বাঙালি অধ্যুষিত হয়।সময়ের পরিবর্তনে দ্বীপটি রক্ষা করতে অধিবাসীরা প্রচুর পরিমাণ নারকেল গাছ লাগায়।কালক্রমে পুরো দ্বীপটি একসময় নারকেল গাছ ভরে যায়।তাই এই দ্বীপের নাম হয় নারিকেল জিঞ্জিরা।কিন্তু ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের ব্রিটিশ ভূ-জরিপ দল এই দ্বীপকে সাধু মার্টিনের নামানুসারে সেন্ট মার্টিন নামে ব্রিটিশ-ভারতের অংশ হিসাবে নথিভূক্ত করে।শামুক,ঝিনুক ভাঙা গুড়োর মিশ্রণ আর সাদা বালির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সমুদ্র সৈকতে নীল জলের ঢেউের আছড়ে পড়ার দৃশ্য শব্দে বর্ণনাতীত।সৈকতে দাপিয়ে বেড়ানো সমুদ্রের নীল জল যেন পুরো এলাকাকে নীল রঙের রাজ্যে ঘোষণা করতে চায়। সমুদ্রের বিরামহীন গর্জন আর নীল পানিতে লাল আকাশের প্রতিচ্ছায়া অদ্ভুত সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে।সূর্যাস্তের পর গাঢ নীল আলোয় খালি পায়ে ছোট ছোট ঢেউের সাথে তাল মিলিয়ে নিরিবিলি এই সৈকতে হাঁটার অভিজ্ঞতা হতে পারে যে কোন মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি।সেন্টমার্টিনে যেন প্রকৃতি দুই হাত মেলে সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে।


রামু: কক্সবাজারের রামু উপজেলা ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ পুরাকীর্তির জন্য বিখ্যাত।রামুতে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন।রামু নামের ইতিহাস নিয়ে কয়েকটি  জনশ্রুতি প্রচলিত আছে।যেমন কেউ বলেন আরাকানের রাম রাজবংশের নামে এই এলাকার নামকরণ হয়।আবার কেউ বলেন, রামকোটে অপহৃতা সীতার সঙ্গে রামচন্দ্রের মিলন ঘটে তাই এই অঞ্চলের নামকরন করা হয় রামু।তবে রামু এখন প্রাচীন বৌদ্ধ নিদর্শনের জন্যই বিখ্যাত।এখানে মুঘলদের চট্টগ্রাম  বিজযকালে বুদ্ধের ১৩ ফুট উঁচু একটি ব্রোঞ্জমূর্তি পাওয়া যায়।এটিই বাংলাদেশে উদ্ধারকৃত সর্ববৃহৎ বুদ্ধমূর্তি। এখানে প্রায় ছোট বড় মিলিয়ে ৩৫টি বৌদ্ধ মন্দির বা ক্যাং ও জাদি রয়েছে। বৌদ্ধ বিহার গুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় সীমাবিহার,লালচিং ও সাদাচিং বৌদ্ধবিহার, লামারপাড়া ক্যাং, কেন্দ্রীয় সীমা বিহার,শ্রীকুলের মৈত্রী বিহার,অর্পন্নচরণ মন্দির, শাসন ধ্বজামহাজ্যোতিঃপাল সীমা,শ্রীকুল পুরাতন বৌদ্ধ বিহার, শ্রীকুলেরচেরেংঘাটা বড় ক্যাং, রাজারকুল বৌদ্ধ বিহার, চাতোফা চৈত্য জাদি, উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞা বনবিহার নামকরা।তবে উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড়চূড়ায় ১০০ ফুট লম্বা গৌতম বুদ্ধের সিংহশয্যা মূর্তি সবচেয়ে দর্শনীয়।রামুর বৌদ্ধ মন্দির গুলোর অপূর্ব স্থাপত্যশৈলী টুরিস্টদের বিমোহিত করে।এছাড়াও বৌদ্ধ বিহার গুলোতে রক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন স্বরুপ মূল্যবান বৌদ্ধ মূর্তি ও নানা রকম নকশা খচিত আসন ও কাঁচের পাত্রে সংরক্ষিত ১০টিরও বেশি পিতল এবং আরো অনেক শ্বেতপাথরের মূর্তি সংরক্ষিত আছে।যা টুরিস্টদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

মহেশখালি:অন্যন্য সুন্দর মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের মহেশখালি হলো কক্সবাজারের সবচেয়ে কাছের দ্বীপ।এই মহেশখালি উপজেলার মধ্যে আবার সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি,ধলাঘাট নামে তিনটি ছোট দ্বীপ আছে।টুরিস্টদের কাছে এই দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ আদিনাথ মন্দির।প্রাচীন স্থাপত্যশৈলী আর অবস্থানগত পরিবেশের কারনে এই মন্দির টুরিস্ট  প্রিয়।পাশাপাশি ধর্মীয় গুরুত্বও হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে।আদিনাথ শিব মন্দিরের পাশেই অষ্টভূজা নামে আরেকটি মন্দির আছে। এছাড়া পান, মাছ, শুটকি, চিংড়ি, লবণ এবং মুক্তার জন্যও মহেশখালী পরিচিত।বিশেষ করে মহেশখালীর পান এ অঞ্চলের বিখ্যাত পান।তাই তো এই পান নিয়ে গানও আছে, যদি সুন্দর একটা মুখ পাইতাম,...মহেশ খালির পানের খিলি তারে..😊।

সোনাদিয়া দ্বীপ: সোনাদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার ভ্রমণ আসা এডভেঞ্চার প্রিয় টুরিস্টদের প্রধান আর্কষণ।ট্রলার বা স্পিড বোডে যেতে হয় বলে কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ এই ভ্রমণ সাধারণ টুরিস্টরা এড়িয়ে যায়।তবে যারা যায় তারা অন্যন্য কক্সবাজার দেখে আসে সেটা কেউ দ্বিমত হবে না।নয় বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপকক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলায় পড়ে।সোনাদিয়া দ্বীপের সৈকত জুড়ে লাল কাকড়া ছটোছুটি দেখে টুরিস্টরা এতটাই আপ্লূত হয়, তারা সিন্ধান্ত নিতে পারে না ক্যামেরার সার্টার টিপবে না চোখের লেন্সকে সার্থক করবে।এখানে এখনো প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের অপূর্ব সমন্বয়ের দেখা মিলে।

মাথিনের কূপ: জনশ্রুতি আছে, টেকনাফের নাম করা রাখাইন জমিদার ওয়াংথিনের একমাত্র আদুরে কন্য মাথিন প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এই কূপে আত্মহনন করেন।লোকশ্রুতি যে,
উপন্যাসিক ধীরাজ ভট্টাচার্য উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে এস.আই. হিসেবে টেকনাফ থানায় বদলী হয়ে এসেছিলেন। তখন মাথিন থানার সামনের কুয়া থেকে পানি নিতে এসে তার প্রেমে পড়ে।কিন্তু তাদের অসম প্রেম পরিবার সমাজ মেনে নিতে পারেন নাই এবং তাদের প্রেমও পরিনতি পায় নাই।মাথিন সমাজ, পরিবারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি। তাই সে দেহ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।মাথিনের অতৃপ্ত প্রেমের ইতিহাসের নীরব সাক্ষী এই কুপ টেকনাফথানার সামনে।
মাথিনের প্রেমের কাহিনী নিয়ে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে।

প্যাগোড়া (জাদী): ১৭৯০ সালের বার্মিজরা আরাকান বিজয়ের পর স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে প্যাগোডা নির্মাণ করেন।তাই কক্সবাজার সদর, রামু ও টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে অনেক প্রাচীন প্যাগোড়া রয়েছে। 

 বৌদ্ধ ক্যাং: কক্সবাজার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৭টি বৌদ্ধ ক্যাং আছে।সব গুলোর স্থাপত্যরীতি প্রায় একইরকম।প্রতিটি মন্দিরের বিগ্রহ গুলো অনেক প্রাচীন।তাই মন্দিরের স্থাপত্যকলার সাথে বিগ্রহের সৌন্দর্যও টুরিস্টদের আকর্ষিত করে।তবে আগ্গা মেধা ক্যাং ও মাহাসিংদোগীক্যাং সবচেয়ে বড়। এই মন্দির গুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব-বৌদ্ধ পূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা ও বিষু উৎসব ক্যাং এ উদযাপন হয়। 

রামকোট তীর্থধাম:৯০১ বাংলা সনে রামকোট তীর্থধাম হলো একটি হিন্দু মন্দির।জনশ্রুতি আছে, রাম-সীতা বনবাসকালে এই রামকোটে অবস্থান করেছিলেন।এই মন্দিরের পাশাপাশি আলাদা একটি বৌদ্ধ বিহারে ধ্যানমগ্ন ছোট একটি বৌদ্ধমূর্তিও রয়েছে।ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধমূর্তি সম্পর্কে প্রচলিত আছে সম্রাট অশোকের সময়ে এই মূর্তি স্থাপিত হয়েছে, দু’টি ধর্ম পাশাপাশি শান্তিতে সহাবস্থানের নিদর্শন স্বরূপ।

কানা রাজার সুড়ঙ্গ:কানা রাজার সুড়ঙ্গ টুরিস্টদের কাছে একবারেই অপরিচিত টুরিস্ট পয়েন্ট।জনশ্রুতি আছে, মগ সম্প্রদায়ের একজন অন্ধ রাজা বিপদ কালীন সময়ে  আত্মরক্ষার জন্যে এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ করেছিলেন।এটি উখিয়া থানার জালিয়া পালং ইউনিয়নে পাটুয়ার টেক সৈকতের কাছে নিদানিয়া পাহাড়ে।

আজগবি মসজিদ :টুরিস্টদের স্বাভাবিক আর্কষণ থাকে প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি।কক্সবাজারের আজগবি মসজিদ তেমনি একটি মসজিদ।১৬০০-১৭০০ খৃস্টাব্দে শাহ সুজার আমলে তৈরি এই মসজিদ।এটি স্থানীয় ভাবে  চৌধুরী পাড়া মসজিদ নামে পরিচিত। কক্সবাজার পৌরসভার বিজিবি ক্যাম্পের কাছেই মসজিদটি।

কিভাবে যাবেন:হিমছড়ি,ইনানী বিচ বা কক্সবাজার অবস্থিত প্যাগোড়া,আজগবি মসজিদ, কানা রাজার সুড়ঙ্গ, রামকোট তীর্থধাম,রামু, মাথিনের কূপ এসব স্থানে গাড়ি ভাড়া করে বা স্থানীয় ভাবে চলাচল করা অটো বা বাসে যাওয়া যায়। সেন্টমার্টিনে ফেরিতে যেতে হয়।মহেশখালী, সোনাদিয়া ট্রলার বা স্পিড বোডে যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন:কক্সবাজারে রাত্রিযাপনের জন্য আবাসিক পাঁচতারকা মানের অভিজাত হোটেলের পাশাপাশি গেষ্ট হাউজ বা লজও আছে।টুরিস্ট তার সামর্থ্য বা বাজেটের হিসেবে পছন্দ করতে পারে আবাসন। এখানে এক রাতের জন্য এক হাজার থেকে প্রায়  ৬০ হাজার টাকা দামের রুম আছে।এছাড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্তৃক পরিচালিত মোটেল শৈবাল আছে।
তারকা মানের সিগাল হোটেল,দি কক্স টুডে,হোটেল সি-প্যালেস,হোটেল সাইমন,হোটেল মিডিয়া,হোটেল ওসান প্যরাডাইস লি.ইত্যাদি উল্লেখ্যযোগ্য।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ads Inside every post