up

# উটি ভ্রমণ(ভারতের তামিলনাড়ু ভ্রমণ)



কিশোরী বসে যখন শাহরুখ খান আর মালাইকা অরোরার 'ছাইয়া ছাইয়া' গানটা টেলিভিশনের পর্দায় দেখতাম,তখন গান বা নাচের চেয়ে দৃশ্যপট আমাকে বেশী মুগ্ধ করতো। অবাক হয়ে ভাবতাম কোথায় আছে এমন দৃশ্য! আমার মনে হতো কোন শিল্পীর আঁকা চিত্রপটের উপর দিয়ে একটা ট্রয়ট্রেন এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে।অনেক পরে জেনেছি এই সবুজ মখমলের চাদরে জড়ানো পাহাড়ে গাঁ ঘেঁষে ট্রেন চলা এই গানের দৃশ্যায়ন করা হয়েছে পাহাড়ের রানি উটির পথে চলা ট্রয়ট্রেনে।সত্যি ট্রয়ট্রেনে উটিতে যাওয়ার পথ যেন প্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়ে রেখেছে।অসম্ভব সুন্দর।কখনো পাহাড়ের পাশ দিয়ে কখনো পাহাড় ফুটো করা গুহার মধ্য দিয়ে।ঝরনার সংখ্যা তো অগুনিত।ঝর্ণা কোথাও দুর পাহাড়ে,কোথাও হাতের সাথে,চাইলেই যেন শীতল পরশ পাওয়া যাবে।


উটি ভ্রমণ: ট্রয় ট্রেন 

স্বপ্নময় ট্রেন যাত্রা শেষে ক্যাব নিয়ে আমাদের রিসোর্টের দিকে যাওয়ার সময় বুঝলাম প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত এই শহর।দূর থেকে সবুজ পাহাড়ের গাঁ ঘেঁষে ছোট ছোট ঘরগুলো যেন আলতো করে লাগিয়ে রেখেছে। আর পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তার দুধারে বন্য ফুলের ডালা সাজানো।অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য যেন এই শহরের পরতে পরতে।

                উটি ভ্রমণ: দুইটি ট্রয় ট্রেন ক্রসিং 

সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এই শহরটি ২,২৪০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই শহরের আবহাওয়ার কারনে উটি ইংরেজ শাসকদের খুবই পছন্দের জায়গা ছিল।তাই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাম্রাজ্যবাদীরা মাদ্রাস প্রেসিডেন্সি ঘোষণা করার পর উটিকে তারা গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করেন। একটা সময় টোডা উপজাতিদের বসবাস ছিল। ব্রিটিশরা এই অঞ্চলকে আধুনিকায়ন করে।উদাগামণ্ডলম' আদি নাম হলেও লোকের মুখে পরিচিত 'উটি' হিসেবেই। তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার পাহাড়ঘেরা এই শৈল শহর নীলগিরি পাহাড়ের কোলে দাঁড়িয়ে থাকা স্বপ্নের মতো সুন্দর এই শহরকে বলা হয় ,শৈল শহরের রাণী'।


 উটির পথে ট্রয় ট্রেন বেশ কয়েকটা ট্যানেল পাল করে।তেমন একটির প্রবেশ পথ


অনন্য জীববৈচিত্র্যের দরুণ বিশ্বের 14-টি 'হটস্পট' বা আগ্রহদীপ্ত স্থান-এর মধ্যে অন্যতম হিসাবে ঘোষণা করা উটিতে দেখার মতো অনেক কিছু আছে।সময় হাতে থাকলে এখানে 15 দিনও কাটানো যায়।তবে পাঁচ দিনও মন্দ নয়।


          রাস্তার পাশের জংলি ফুল,যা অযত্নে ফুটে আছে।


#গভর্নমেন্ট রোজ পার্ক

ভালোবাসা ও সৌন্দর্যের প্রতীক গোলাপ নিয়ে আমাদের সবারই কম বেশী ফ্যান্টাসি কাজ করে।আর আমার মতো গোলাপ প্রেমী হলে তো কথাই নাই।যে কোন সৌন্দর্য পিয়াসী মানুষের জন্য উটির রোজ গার্ডেন চমৎকার দর্শনীয় স্থান।তামিলনাড়ু হর্টিকালচ্যার ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক পরিচালিত ঈক পাহাড়ের ঢালের এই গার্ডেনে চোখ ধাঁধানো রঙ আর ভুবন ভোলানো ঘ্রাণের গোলাপের মেলা বসে।প্রায় 3,600 প্রজাতির গোলাপ আছে পার্ক কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে।গোলাপী,লাল, হলুদ, সাদা, হালকা বেগুনী, খয়েরী,কমলা কত যে রঙের আর আকারের গোলাপ হয়, তা এখানে না এলে জানতাম না।তবে এখানে আসার আগে শুনেছি এখানে কালো ও সবুজ রংয়ের গোলাপও দেখা যায়।কিন্তু আমি কালো গোলাপ দেখি নাই।আর সবুজ গোলাপ বলতে যা দেখেছি তা অনেকটা ছোট ছোট পাতার মতো।পাহাড় কেটে সাজানো এই গোলাপের রাজ্যে শুধু গোলাপই নয়, বাগান বিন্যাসও নজর কাড়ার মতো মনোরম।এছাড়া এই বাগানটি সারা বিশ্বের ১৫টি গোলাপ বাগানের মধ্যে একটি।ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ রোজ সোসাইটিস থেকে গার্ডেন অফ এক্সেলেন্স পুরস্কার পেয়েছে রোজ গার্ডেন।

  রোজ গার্ডেনর ভিতর গাছ দিয়ে বানানো প্রজাপতি 

#দেদাবেত্তা শৃঙ্গ

উটি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দেদাবেত্তা শৃঙ্গ এখানকার সর্বোচ্চ স্থান।২৬২৩ মিটার উঁচু এই পাহাড়শীর্ষ থেকে পুরো উটি শহর এবং নীলগিরি পর্বত দেখা যায়।উপর থেকে পাখির চোখে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেদাবেত্তা শৃঙ্গ অতুলনীয়।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  ভালো ভাবে অবগাহনের জন্য তামিলনাড়ু পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন এখানে টেলিস্কোপ টাওয়ার স্থাপন করেছে।টাওয়ারের উপর থেকে নীলগিরির রোমাঞ্চকর দৃশ্য টুরিস্টদের বিমোহিত করে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কেউ যেন পাহাড়ের বুকে সবুজ গালিচা বিছিয়ে রেখেছে।তবে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে গাড়ি থেকে নেমে অনেকটা পথ হাঁটতে হয়।যারা হাঁটতে পারে না বা বয়স্ক তারা কেউ কেউ ঘোড়া ভাড়া করে।সাবধান দরকষাকষি আছে ভালোই।ছবি তোলার জন্য প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাররাও জেঁকে ধরে।কয়েক মিনিটে প্রিন্ট করে দেয়,মেমোরি ধরে রাখার জন্য বিষয়টা কিন্তু মন্দ না।


   উটি ভ্রমণ: ক্যাকটাস 

 #উটি বোটানিক্যাল গার্ডেন 

1848 সালে ট্যুইড্যেল-এর মারক্যুইস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রায় ২২ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই পার্কে হাজার হাজার প্রজাতির গাছপালার অবিশ্বাস্য সংগ্রহ রয়েছে।বর্তমানে গার্ডেনটি তামিলনাড়ু হর্টিকালচ্যার ডিপার্টমেন্ট (তামিলনাড়ু উদ্যান দপ্তর) দ্বারা পরিচালিত হয়।তথ্য মতে,এখানে প্রায় দুই কোটি বছর বয়সী একটি জীবাশ্ম বৃক্ষ আছে। এই গার্ডেনে মাঙ্কি’স পাজেল ট্রি নামের এক প্রজাতির গাছ আছে।তবে মজার বিষয় হলো গাছটির নাম মাঙ্কিস ট্রি হলেও এই গাছে কিন্তু বানর চড়তে পারে না।নানান প্রজাতির ফুলের গাছ, সুন্দর সুন্দর গুল্ম সহ বিরল রঙের লিলি ও বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় ফার্ণ ও অর্কিড পরিপূর্ণ এই গার্ডেন।নানান বৈচিত্র্যময় গাছগাছালির আবাসস্থল এই পার্কের স্নিগ্ধ, শান্ত, ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ প্রকৃতি প্রেমীদেরকে মুগ্ধ করে।এখানে প্রত্যেক বছর মে মাসে ফুলের প্রদর্শনী হয় যা ‘গ্রীষ্ম উৎসব’ নামে পরিচিত।তখন শুধু ফুলের প্রদর্শনী হয় না, সাথে বিরল প্রজাতির উদ্ভিদও দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হয়।


  উটির বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতর ক্যাকটাস ও অন্যান্য গাছ দিয়ে বানানো ভারতীয় মানচিত্র।

#উটি লেক

ইউক্যালিপটাস গাছ ঘেরা উটি লেক শহর থেকে প্রায় 3 কিলোমিটার দূরে।এটি সবুজাভ স্বচ্ছ জলের এই লেক কোন প্রাকৃতিক লেক নয়, কৃত্রিমভাবে নির্মিত এই লেকের সৌন্দর্যে মানুষ যেমন আকৃষ্ট হয়,তেমনি এর প্রাকৃতিক পরিবেশ পাখিদের জন্যও অনুকূলে।তাই এই লেক এরিয়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে ভিড় করে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি।এখানকার পরিবেশ পাখিবান্ধব হওয়ায় পাখিদের স্বাচ্ছন্দ্যময় বিচরণের অত্যাশ্চর্য মনোরম দৃশ্য টুরিস্টদের আকৃষ্ট করে।লেকটির মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য এখানে সারাদিন নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা আছে।তবে পড়ন্ত বিকেলের পরিবেশে হিমেল বাতাস আর লেকের সবুজাভ জলে লাল,কমলার মিশ্রিত রঙের আকাশের ছায়ার অপার্থিব দৃশ্য উপভোগ করতে হলে বিকাল নৌকা ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।মে মাসে এখানে নৌকা প্রতিযোগিতা হয়,যা দেখতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।

শিশুদের জন্য আছে এখানে কিছু রাইড।যা তাদের জন্য একটু বাড়তি পাওয়া।এখানে ডিয়্যার পার্ক নামে একটি পার্ক আছে, যা ভারতের কয়েকটি উচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত চিড়িয়াখানার মধ্যে অন্যতম। 

  উটি ভ্রমণ : উপর থেকে শহরের ভিউ 

#ওয়াক্স ওয়ার্ল্ড : 

ওয়াক্স ওয়ার্ল্ড, উটি-কুন্নূর রোডে অবস্থিত।সেখানে বেশ কিছু ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক কর্মী এবং রাজনৈতিক নেতাদের মোমের মূর্তি আছে। 142 বছরের প্রাচীন বাংলোতে অবস্থিত যাদুঘরটি পার্শ্ববর্তী উপজাতীয় অঞ্চলের গ্রামীণ জীবনেরও একটি আভাস দেয়।যা বিশেষ প্রমাণের দলিলে পরিণত হয়েছে বর্তমানে।

        উটি ভ্রমণ : উপর থেকে শহরের ভিউ 

#ট্রাইবাল মিউজিয়াম : 

উটি থেকে প্রায় 10 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মিউজিয়াম।এটি মূলত স্থানীয় আদিবাসীদের ইতিহাস, সংস্কৃতি,ঐতিহ্য গবেষণা কেন্দ্রের একটি অংশ। ট্রাইবাল মিউজিয়াম তামিলনাড়ু এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসীদের বিরল হস্তনির্মিত সামগ্রী ও ছবি বর্ণিত আছে।এই মিউজিয়ামের প্রধান আকর্ষণ হল পানিয়া, টোডা ও কোটার তিনটি জীবনাকৃতির যুগল মূর্তি এবং পানিয়া, টোডা, কোটা, কুরুম্বা ও কাণিকরন উপজাতিদের বসতবাড়ি। এছাড়াও এখানকার দ্রুতগামী বাষ্পচালিত ইঞ্জিনটি পর্যটকদের দারুণ বিস্ময়কর। 

                  উটি ভ্রমণ: পায়কারা জলপ্রপাত 

পায়কারা জলপ্রপাত : 

উটি থেকে প্রায় 20 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পায়কারা জলপ্রপাতটি অসাধারণ।এই জলপ্রপাতে পানি প্রায় ৩৬ মিটার নিচে একটি স্পটে পড়ে।পাইন গাছ এবং টোডা জনবসতি দিয়ে বেষ্টিত এই জলপ্রপাতে আমরা যখন পৌঁছেছি তখন দুপুর গড়িয়ে গিয়েছিল।গাড়ী থেকে নেমে অনেকটা পথ যেতে জলপ্রপাত দেখতে হলে।ভিতরে অবশ্য ব্যাটারি চালিত গাড়ী সার্ভিস দেয় জনপ্রতি 10 রুপি করে।কিন্তু দর্শনার্থীর তুলনায় গাড়ী কম, তাই অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। নইলে পায়ের উপর আস্থা রেখে হাঁটতে হয়।তবে পুরো এলাকা সাজানো গোছানো।যা সাধারণত বাংলাদেশের ঝর্ণা গুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় না।যে কারনে বাংলাদেশী টুরিস্টরা ধরে নেয় ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে বন্ধুর পথে কষ্ট করতেই হবে।এখানে কিন্তু তা নয়।এখানে যথেষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যবস্থা আছে, যাতে কেউ সৌন্দর্য আত্মহারা হয়ে যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় না চলে যায়।যাতে আনন্দ হয় নিরাপদ,নির্বিঘ্ন।এডভেঞ্চার প্রিয় টুরিস্টদের জন্য লেকে স্পীড বোট রাইডের ব্যবস্থা আছে।আর যারা শান্ত নির্জন ছায়াবৃত পরিবেশে বসে নিজেকে প্রকৃতির কাছে সমর্পণ করতে চায়, তাদের জন্যও আছে গাছের নীচে নীচে বসার ব্যবস্থা।এই এলাকা মূলত পিকনিক স্পট হিসেবে অসাধারণ।


উটির পথে ট্রয় ট্রেন থেকে দেখা অসংখ্য ঝর্নার একটি 


এ ছাড়াও উটিতে আমরা আমাদের ক্যাব চালক কাম গাইডের সাথে কন্টাক্ট করা এই স্পটে যাওয়া আসার পথে আমাদেরকে চকলেট ফ্যাক্টরি,চা ফ্যাক্টরি,নিডল রক ভিউ পয়েন্ট দেখিয়েছে।


  উটি ভ্রমণ: দেদাবেত্তা শৃঙ্গের নীচের দোকানের জিনিস দেখছিলাম।

#উটি বেড়াতে যাওয়ার মাধ্যম:

ট্রেন:কলকাতা প্রায় ৩০ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে চেন্নাই যেতে।সেখান থেকে মেট্টুপালায়াম স্টেশন যেতে লাগবে প্রায় ১০ ঘণ্টা।মেট্রুপালায়াম স্টেশন থেকে ট্রয়ট্রেনে প্রায় 2.30 মিনিটের মতো সময় লাগবে।তবে অনেকে এখান থেকে প্রাইভেট গাড়ী নিয়ে উটি যায় সময় বাঁচাতে এবং আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যে যেতে।তবে আমি ট্রয়ট্রেনে যাওয়ার পরামর্শ দিবো।সেজন্য অবশ্য আপনাকে কসরত করতে হবে ট্রয়ট্রেনের টিকেট পেতে।এই ট্রেনের টিকেট পাওয়া মুশকিল।

বিমান:উটিতে কোন বিমানবন্দর নেই।কোয়েম্বাটোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি উটি থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।সেখান থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে ক্যাবে চড়ে উটি শহর পৌঁছতে।

সড়ক:সড়ক পথে উটি যাওয়া কিছুটা কম আরামদায়ক।তবে চেন্নাই থেকে বাসেও যাওয়া যায়।তামিলনাড়ু রাজ্য সড়ক পরিবহন নিগম-এর অনেক বাস শহরটিতে যাতায়াত করে।


#আরো পড়ুন https://www.prithibirpathe.com/2022/06/blog-post_17.html

https://www.prithibirpathe.com/2021/06/blog-post.html

https://www.prithibirpathe.com/2021/07/blog-post.html


       উটি ভ্রমণ : ট্রেনে যাওযা পথে উপর  থেকে শহরের ভিউ 

#উটিতে বেড়ানোর সময়

উটিতে বছরের সবসময় বেড়ানো যায়।এখানের আবহাওয়ায় সবসময়ই ঠাণ্ডাভাব থাকে।তবে এখানে ব-rwেড়ানোর সেরা সময় হল এপ্রিল ও জুনের মাঝামাঝি ও তারপর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যবর্তী সময়।তবে আমরা গিয়েছিলাম ডিসেম্বরের শেষদিকে।তখনো টুরিস্টের অনেক চাপ ছিল।যদিও ডিসেম্বর,জানুয়ারিতে শীত বেশী থাকে।


উটির পথে ট্রয় ট্রেন থেকে দেখা দূরের মায়াবী পাহাড়।

#অন্যান্য তথ্য 

1.উটি বেড়াতে গেলে সবসময় শীতের কাপড় লাগে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারিতে গেলে ভারী শীতের কাপড় নিয়ে যাওয়া ভালো।

2. এখানকার মানুষ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে।তামিল, কন্নড়, মালয়ালম, বাডাগা, ইংরেজি ইত্যাদি ভাষাভাষী মানুষ বাস করে।তবে ইংরেজি বুঝে কম বেশী সবাই।

3.এখানে খ্রিষ্টান ধর্মাবলী মানুষ বেশী,তাই এখানে বড়দিনে বেশ আনন্দ হয়।

4.ব্যয়বহুল রিসোর্টের পাশাপাশি এখানে কম দামী হোটেল লস আছে।তাই বাজেট ভ্রমণ করতে চাইলেও অসুবিধে নেই।

5. নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যময় স্থান।



 সব হোটেল বা রিসোর্ট ওয়েলকাম ড্রিংকস দেয়। উটির রিসোর্ট আমাদের দিলো ওয়েলকাম ট্রি☺️


 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ads Inside every post