up

#মালয়েশিয়ার গেন্টিং হাইল্যান্ড(মালয়েশিয়া ভ্রমণ)


 মালয়েশিয়ার কথা বলতেই আমার চোখে ভাসে ঔপনিবেশিক ভবন এবং আইকনিক ৪৫১ মিটার লম্বা পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের মতো আকাশচুম্বী ভবন।মূলত মালয়েশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির একটি দেশ। মালয়েশিয় সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হলো সেখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও সমাজের আবহমান কাল ধরে পালন করে আসা বৈচিত্রময় দৃষ্টিভঙ্গী ও আচার-আচরণ।যা ইসলামি সংস্কৃতির সাথে অভূতপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি করেছে।মালেশিয়া এশিয়ার অন্যতম কসমোপলিটান দেশ হতে পেরেছে তাদের নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, মূল্যবোধ, সুন্দর অর্থনৈতিক সম্পর্ক আর শক্তিশালী রাজনৈতিক কাঠামোর কারনে।আর মালেশিয়ার এই বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজই আমাকে চরমভাবে আকৃষ্ট করে।প্রথম বার মালেশিয়ায় গিয়ে তো আমি এয়ারপোর্টের আধুনিকতা থেকে শুরু করে সাজানো গোছানো সিটি, উন্নত অবকাঠামো সব কিছুতেই অবাক হয়েছি।

এয়ারপোর্ট থেকে আগেই বুকিং দেয়া হোটেলে সোজা উঠে গেলাম।ততক্ষণে ঘড়ির কাটায় দুপর পার।তাই বাহিরে না গিয়ে হোটেলের ভিতরে খাওয়া সেরে নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম।সন্ধ্যায় টুইন টাওয়ারে গিয়ে সময় কাটিয়ে চায়না টাউনে খাবার খেয়ে রুমে এলাম।চায়না টাউনে অনেকগুলো বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট আছে।দামও বেশী না, সাথে টুকটাক শপিংও করা যায়।এটি আমার দ্বিতীয় মালেশিয়া  ভ্রমণ,তাই সিটি ট্যুরের ইচ্ছে ছিল না।তবে কুয়ালালামপুরের একদম কাছের গেটিং হাইল্যান্ডে গতবার যেতে পারি নাই সময়াভাবে।সাধারণত বাংলাদেশীরা সবাই মালেশিয়া এলে গেটিং হাইল্যান্ড মিস করে না।আমি ব্যতিক্রম।চলে গিয়েছিলাম লাঙকাং দ্বীপে, তাই কাছের গেটিং হাইল্যান্ড মিস করেছি।এবার সেটা হবে না,আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিলো।তাই দুই রাত তিন দিনের এই ঝটিকা সফরে আমাদের একমাত্র গন্তব্য গেটিং হাইল্যান্ড।


গেন্টিং হাইল্যান্ডস সৃষ্টির একটা গল্প আছে যা অনেকে জানে না। মালয়েশিয়ান চীনা ব্যবসায়ী, লিম গোহ টং 1963 সালে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ব্যবসায়িক ভ্রমণের সময় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন পাহাড়ি অবকাশ কেন্দ্র নির্মাণ করার জন্য।তিনি ব্যবসায়িক সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে কুয়ালালামপুরের মানচিত্র এবং আশেপাশের এলাকা নিয়ে গবেষণা করে আদর্শ স্থান হিসেবে কুয়ালালামপুর থেকে 58 কিমি দূরে জেন্টিং সেম্পাহের মাউন্ট উলু কালীকে চিহ্নিত করেন। 18 আগস্ট 1965-এ, একটি প্রযুক্তিগত এবং নির্মাণ দল গেন্টিং সেম্পাহ থেকে মাউন্ট উলু কালির চূড়া পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা তৈরি করতে শুরু করে।1971 সালে Genting Highlands-এ প্রথম হোটেলটি নির্মিত হয়, যা Highlands Hotel বা বর্তমানে থিম পার্ক হোটেল নাম হয়।

যারা ট্র্যাভেল এজেন্সির সাথে বেড়াতে আসে তাদের কথা বাদ দিলে,মানুষ সাধারণত গেনটিং হাইল্যান্ড যাওয়ার জন্য দুইটি ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করে বাস এবং ক্যাব।বাসের টিকিট কাউন্টার অথবা অনলাইন থেকে কালেক্ট করা যায়।আমরা যেহেতু আরাম এবং প্রাইভেসি পছন্দ করি, তাই আমরা হোটেলের ট্যুর ডেক্স থেকে গাড়ী নিয়েছি।সকালের ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা গাড়ীতে উঠলাম।কথা ছিল প্রথমে গেটিং হাইল্যান্ড যাবো, ফেরার পথে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় স্টব্রেরি কামার, চকলেট ফ্যাক্টরি হয়ে ফিরবো।

আমাদের গাড়ি পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে ছুটে চলেছে দুরন্ত গতিতে।মাঝেমাঝে পাহাড়ের সাথে পাহাড়ের সংযোগ ঘটেছে প্রশ্বস্ত ফ্লাইওভারে। দুই পাহাড়ের মাঝে আঁকাবাঁকা  প্রস্তস্ত পিচঢালা পথ মালেশিয়ার অবকাঠামোগত উন্নয়নের চমৎকার নিদর্শন।দেশটির সব আধুনিকায়নের বেশির ভাগই পাহাড় কেটে করা হয়েছে। বিশেষ করে সড়কপথ ও রেলপথ।গতবার লাঙকাই দ্বীপ আর এবারের গেটিং হাইল্যান্ড দেখে মনে হল এখানে এক একটি এলাকার সঙ্গে আরেকটি এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভূ-তাত্ত্বিক মিল একবারেই কম। তাই কোন জায়গার চেয়ে কোনটা কম সুন্দর নয়। যে যার যার মতো ইউনিক! 

প্রায় ৪৫মিনিট/১ ঘণ্টায় আমাদের গাড়ী গ্যান্টিং হাইওয়ের  টার্মিনালে পৌঁচ্ছে গেল।Genting Highlands হল একটি শীতল হিল স্টেশন যা শীতল পর্বতের বাতাস এবং একটি মহিমান্বিত 100 মিলিয়ন বছরের পুরনো রেইনফরেস্টের মধ্যে অবস্থিত। 

আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড রামা আমাদের হাতে ক্যাবেল কারের টিকেট দিয়ে রাস্তা দেখিয়ে দিল, বলল ফিরে এসো কল দিও।সে আমাদের জন্য এখানে অপেক্ষা করবে।সময়ের কোন বন্ধন নেই, তবে ৪.৩০ মধ্যে না ফিরলে তোমাদের চকলেট ফ্যাক্টরি, স্টব্রেরী খামার মিস হতে পারে। যদিও আমাদের টিকেট গাড়ীসহ প্যাকেজে, তবে ক্যাবেল কারের রিটার্ন টিকিট সহ ৩০ রিঙ্গিত এবং স্ট্যান্ডার্ড টিকিট ১৬ রিঙ্গিত।



ক্যাবেল কারে  উঠার দীর্ঘ লাইন বলে দিলো ওপাড়ের প্রতি টুরিস্টদের আকর্ষণের মাত্রা।৪জনের পরিবার হলে একসাথে দিচ্ছে, ২জন হলে দুই সিট খালি রেখে ২জন দিচ্ছে।একা হলে সিঙ্গেল আরেক জনকে দেয়।বিষয়টা ভালো লেগেছে। ক্যাবেল উঠে বসার সাথে সাথে বাণিজ্যিক ক্যামেরা ক্লিক। যা ফেরার পথে বিক্রি করা হবে।তবে উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক হলেও টুরিস্টদের জন্য মন্দ না,কারন আজকাল মানুষ ছবি ওয়াস করে ফটোস্ট্যাটে রাখাকে কষ্টের কাজ মনে করে।এরা সেই কাজটা ইন্সট্যান্ড করে দিচ্ছে।


যাত্রা শুরু হলো আমাদের পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ক্যাবল কারে প্রায় ৬ হাজার ফিট উচ্চতায় সাজানো বিনোদন রাজ্যের উদ্দেশ্যে। শুরু হলো খোলা আকাশের নিচে তার বেয়ে এগিয়ে চলা।ঘন সবুজ আচ্ছাদিত জঙ্গল। কখনও ঘন সবুজ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কখনও বা মেঘে সরিয়ে ছুটে চলেছে ক্যাবল কার। সবুজে আচ্ছাদিত পাহাড়ে সৌন্দর্যের রোমাঞ্চে চোখ জুড়িয়ে যায়।যদিও ক্যাবেল কারে বারবার উঠার অভিজ্ঞতা থাকায় ভয় পাইনি, তবে নতুন কেউ হলে ভয় পেতে পারে। তাদের উচিৎ হবে না নিচের দিকে তাকানো। প্রায় ৩৮টার মতো পিলার টপকে যখন কাছাকাছি আসতে নজর আটকে গেল পাহাড়ের চূড়ায় নানা আকার ও বর্ণের দালানে,যেন আকাশ ছুঁয়েছে অট্টালিকাগুলো।এখানে প্রকৃতি আর প্রযুক্তির মেলবন্ধনের অবিশ্বাস্য রূপ দেখা যায়।

ক্যাবেল কার থেকে নেমে বিনোদন আয়োজনের এমন আনন্দ যজ্ঞ দেখে তো আমি হতঃভম্ব।কোন দিকে আগে যাবো।আমার মতো কেউ দিক ভ্রান্ত না হতে চাইলে ম্যাপ কিনে নিবেন।যা আমরাও করেছি।তাহলে আপনার পছন্দমত জায়গায় সময় কাটাতে পারবেন।আমার মতে ডে ট্যুর কম সময়, পুরো জায়গাটা দেখার জন্য।রাত থাকলে সব কিছু সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায়।তবে বেশীর ভাগ টুরিস্ট ডে ট্যুরে যায়।


গেন্টিং হাইল্যান্ডকে মালেশিয়ার  সিটি অফ এন্টারটেইনমেন্ট বলার বড় কারন হলো পৃথিবীর প্রথম সারির নামকরা ক্যাসিনোগুলোর বেশ কয়েকটি এখানেই আছে। ক্যাসিনোগুলোর পরিব্যাপ্তি কিলোমিটারের মতো। প্রতিটি ক্যাসিনোই ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে।২১ বছরের বেশী বয়সী যে কোন বিদেশী নাগরিক ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে।স্থানীয়দের মধ্য মুসলিম ছাড়া অন্যদের জন্যও একই নিয়ম।মজার বিষয় হলো ক্যাসিনোগুলোতে রয়েছে ড্রেস কোড।টি-শার্ট, স্যান্ডেল, হাফ প্যান্ট পরে ভিতরে ঢোকা যায় না। মন্তে কার্লো ক্যাসিনো গেংটিং হাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো।বিদেশীরা চাইলেই এর আন্তর্জাতিক রুম বা ভিআইপি রুমে বসতে পারেন। তবে শর্ত হলো তাকে ওয়ার্ল্ড কার্ড-এর মাধ্যমে সাইন ইন করতে হবে।এছাড়া  হলিউড ক্যাসিনো, স্টারওয়ার্ল্ড ক্যাসিনো সহ অন্যান্য ক্যাসিনোগুলোও আধুনিক সকল সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠেছে।নিজের পছন্দ অনুযায়ী অগণিত স্লটের মাধ্যমে স্বল্প থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বাজি রাখে ভাগ্য যাচাইয়ের সুযোগ আছে।আর ভাগ্যের দরজা যদি খুলে যায়, সেই  টাকা তোলার জন্য গেংটিং ওয়ার্ল্ড কার্ড ব্যবহার করতে হয়।ক্যাসিনোগুলোতে এলকোহলসহ বিভিন্ন পানীয় এবং স্নাক্স আইটেম ফ্রি ছিল এবং ভিতরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অন্যান্য ক্যাসিনোর মতো।


#বিনোদন :
পুরো গেংটিং হাইল্যান্ড সাজানো হয়েছে টুরিস্টদের চাহিদা ও রুচি মতো।এখানে সব বয়সী টুরিস্টদের জন্য আয়োজন আছে।যারা ক্যাসিনো বা থিমপার্কে মজা পাবে না তারা কিছু সময় কাটাতে পারে ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড সিনেপ্লেক্সে।ছোট আকারের দুটি সিনেমা হলে বিভিন্ন ধারার নতুন নতুন সিনেমা চালানো হয়।এখানে সব রুচির টুরিস্টদের বিনোদনের ব্যবস্থা আছে, তাই রাখা হয়েছে একটি 18-হোলের গল্ফ কোর্স।যাতে স্পোর্টস প্রেমী টুরিস্টরাও আনন্দ করতে পারে।এছাড়া প্রতি ছুটির দিনেই পর্যটকদের বিনোদনের জন্য এখানে কনসার্টের আয়োজন থাকে। 


 গেন্টিং হাইল্যান্ডে দুইটি থিম পার্ক আছে একটি  ইনডোর আরেকটি আউটডোর।এশিয়ার নামকরা থিমপার্কগুলোর এটি একটি। ডিজনি ওয়াল্ড বা ইউনিভার্সাল স্টুডিয়ো থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম হলেও এই ফ্যামিলি ফান সিটি যথেষ্ট জনপ্রিয়।এখানে আছে অসংখ্য রাইড।আউটডোর থিমপার্কে একদিনের আনলিমিটেড রাইড উপভোগের জন্য বড়দের ৫০ এবেং ছোটদের ৩৫ আরএম লাগে।আর ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইন্ডোর থিম পার্কটি ফার্স্টওয়ার্ল্ড প্লাজার ভিতরে।এই থিম পার্কের সব রাইডসহ ডে এন্ট্রি টিকেট নেয়া যায়।ভিতরে ছোটদের পাশাপাশি বড়দের জন্যও গেইম আছে।এককথায় সপরিবারে উপভোগ করার মতো জায়গা।তাই তো প্রতি বছর দুই কোটিরও বেশি পর্যটক আসে গেন্টিং হাইল্যান্ডে।

কেনাকাটা :অনেকের কাছে বেড়ানোর আনন্দ পূর্ণতা পায় না শপিং ছাড়া।আমার অবশ্য তেমন মনে হয় না।তবে টুরিস্টদের রুচি ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে এখানে তৈরি হয়েছে শপিং প্লাজা।এটা মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত শপিং মল।চারপাশে পাহাড় আর মেঘের মাঝে তৈরি করা এই শপিং মলে নামি দামী ব্র্যান্ড সহ ৯০টিরও বেশি ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান আছে।যারযার চাহিদা মতো কেনাকাটা করার সুযোগ আছে।


সারাদিনের বিনোদন শেষে যখন ফেরার পালা তখন বাহিরের খোলা জায়গায় এসে দাঁড়াতে হাঁড় কাঁপানো ঠাণ্ডা অনুভব করলাম।আমাদের ঘিবে ধরলো মেঘকুয়াশার দল। ঝিরিঝিরি নরম বৃষ্টি হয়ে তারা ঝরে পড়ছে আমাদের চোখে মুখে।একটু পরেই পুরো চত্বরই মেঘদলের দখলে চলে গেল।
 আমার পুরো ভ্রমণকে সার্থক করেছে মেঘেদের ওই আলতো ছোঁয়া।ঘড়ির তাড়ায় ফিরার পথ ধরতে হলো।তবে মনে মনে  বলেছি, বারে বারে ফিরে আসতে চাই মেঘেদের ঐ হাতছানিতে, তাদের ছুঁয়ে দেখার নেশায়। 

ক্যাবল কারে করে ফিরতে প্রায় ২০ মিনিট লাগলো।মজার বিষয় হলো এক টিকেটে যতোবার ইচ্ছে ততোবার আসা-যাওয়া করা যায়।তবে এমন মানুষের দেখা বছরে ১/২ জন হয়তো মিলে।

ক্যাবল কার থেকে নেমে কিছু ড্রাই ফুড কিনলাম,দাম এবং বৈচিত্র্যের কারনে।গাড়ীতে উঠতেই রামা আমাদের জানিয়ে দিলো আমরা লেট।তাই স্টব্রেরি খামার আর চকলেট ফ্যাক্টরিতে দর্শনার্থী এন্ট্রি সময় হয়তো আমরা পাবো না।এতে কিছুটা খারাপ লেগেছে,তবে খুব না।চকলেট ফ্যাক্টরি আমি আগে ভিজিট করেছি, আর আমি বাংলাদেশি মানে জাত কৃষক😂স্টব্রেরি খামার আমার জন্য বিশেষ কিছুনা।নিজেকে নিজের প্রবোধ দেয়া আর কি! তবে প্রকৃতি ও প্রযুক্তির সেই মেলবন্ধনের সৌন্দর্যের স্বাদ নেয়ার কাছে এমন ছোটখাটো অতৃপ্তি কিছুই না।

# যাতায়াতের পথে নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান : চায়না সুই কেভস টেম্পল, ক্র্যাডেল রক, গেংটিং সেমপাহ্ ওয়েলকাম আর্ক, গেংটিং স্ট্রবেরী ফার্ম,হাইল্যান্ডস মাশরুম ফার্ম, হাইল্যান্ডস ভেজিটেবল ফার্ম, হাইল্যান্ডস ডে লিলি ফার্ম, দ্যা ভিজিটর’স গ্যালেরিয়া।

#কিভাবে যাবেন :
কুয়ালালামপুর থেকে গেনটিং হাইল্যান্ড যাওয়া যায় বাস এবং ক্যাবে।বাসের টিকিট কাউন্টার অথবা অনলাইনেও কেনা যায়।TVS বাসট্যান্ড, Kl সেন্ট্রাল, তিতি উংসা সহ আরো কিছু স্থান থেকে বাসের টিকিট নেওয়া যায়।কুয়ালালামপুর থেকে গেনটিং হাইল্যান্ড যেতে প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে ১ঘণ্টা সময় লাগে। 

#খাবার :
স্থানীয় খাবার থেকে শুরু করে চীনা, ভারতীয়, জাপানীজ, ইউরোপিয়ান, ইতালীয় সহ সব কুজিনের স্বাদ নেয়ার ব্যবস্থা আছে।বিশাল ফুড কোটে ১৭০ টারও বেশি আউটলেটের প্রধান ৬ প্রকার কুজিন থেকে বেছে নেয়া যায় হাজার রকমের খাবার এবং নিজের ইচ্ছেমতো এবং বাজেট মতো খেতে পারেন। এখানে আন্তর্জাতিক মানের বুফে খাবার যেমন মিলে তেমনি  ফাস্ট ফুড ধরনের খাবারও মিলে।তবে কুয়ালালামপুর শহর থেকে এখানে খাবারের দাম দুই-তিনগুণ বেশী। আর যারা বাস কাউন্টার থেকে কুপন সংগ্রহ করে থাকেন,বা ট্যুর এজেন্সির সাথে আসে তারা নিদিষ্ট বুফে খাবারের সুযোগ থাকে।

#থাকার ব্যবস্থা:
থাকার জন্য হোটেল ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড, হোটেল রিসোর্ট, হোটেল থিমপার্ক, ম্যাক্সিমসসহ বেশ কয়েকটি নামকরা হোটেল আছে।ব্যয়বহুল এসব হোটেলে থাকতে হলে গুনতে হবে মোটা অংকের টাকা।তবে মনে রাখার মতো হবে সেই অভিজ্ঞতা।আর্থিক সামর্থ্য থাকলে  পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হোটেল First world hotel এ রাত যাপনের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। যা গিনিজ বুকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হোটেল হিসেবে নাম লিখিয়েছে।তবে যখন পর্যটন মৌসুম থাকেনা তখন ১০০০০ কক্ষ থেকে নিজের রাত যাপনের স্থান খুঁজে নেয়া যায় মোটামুটি টাকায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ads Inside every post